শুভ জন্মদিন প্রিয় নেতা,বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল,সভাপতি,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম

  
বীরমুক্তিযোদ্ধা 
                                                               ড.শ্রী মনোরঞ্জন ঘোষাল

শুভ জন্মদিন প্রিয় নেতা

বীরমুক্তিযোদ্ধা 
ড.শ্রী মনোরঞ্জন ঘোষাল
শব্দসৈনিক,স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র।
চেয়ারম্যান,হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশন
সভাপতি,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম।

সাতক্ষীরা'র কৃতিসন্তান,আমাদের সংগঠনে'র অন্যতম নেতা ও দেশবরেণ্য ব্যাক্তিত্ব সনাতনী বীর সংগীত শিল্পী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক শ্রদ্ধেয় নেতা, 
শুভ জন্মদিনে জানাই নিরন্তর শুভ কামনা,শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

মৃত্যুঞ্জয়ী বীর মনোরঞ্জন ঘোষাল

স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল।একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শব্দসৈনিকদের মধ্যে অন্যতম তিনি। তার জন্ম সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার গোণালীনলতা গ্রামে। ১৯৪৭ সালের ১ মে; ১৩৫৪ বঙ্গাব্দের ১৭ বৈশাখ বৃহস্পতিবার তার জন্ম হয়। পিতার নাম যামিনীকান্ত ঘোষাল এবং মাতার নাম কমলা ঘোষাল। পিতা যামিনীকান্ত ঘোষাল ছিলেন 'ইস্ট পাকিস্তান পাবলিশার্স' এর প্রকাশক এবং সত্ত্বাধিকারী। 'ঘরের আলো' নামক একটি জনপ্রিয় উপন্যাসের লেখক। অত্যন্ত ছোট বয়স থেকেই মনোরঞ্জন ঘোষালের মধ্যে প্রতিবাদী চেতনা প্রবল। ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। 'বিক্ষুব্ধ শিল্পী গোষ্ঠীর' সদস্য হিসাবে অন্যান্য শিল্পীদের সাথে ঢাকা শহরে পাকিস্তানি অপশাসন এবং বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধাচারণের বিরুদ্ধে তীব্র সোচ্চার হন।প্রায় প্রতিদিনই হারমনিয়াম গলায় নিয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে প্রেসক্লাব হয়ে পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিল (বর্তমান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি) পর্যন্ত বিভিন্ন বিল্পবাত্মক এবং দেশাত্মবোধক সঙ্গীতের সবাইকে প্রবুদ্ধ করতেন। উল্লেখ যে, তিনি ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত জগন্নাথ কলেজের ইন্টারমিডিয়েট এবং স্নাতক শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। ১৯৬৭ সালে বিকম পাশ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ তে ভর্তি হন। ঢাকা শহর ছাড়াও নরসিংদী, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সংগীত দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশনের কারণে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতির শতাংশে ঘাটতি দেখা যেত। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বছরের এমবিএ এর অধিকাংশ শিক্ষকই বিদেশি ছিলেন। তারা এই উপস্থিতির বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি।ফলশ্রুতিতে তার টিউটোরিয়াল ক্লাস এবং প্রতিদিনের পরীক্ষায় তার অনুপস্থির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শান্তিনারায়ণ ঘোষ মনোরঞ্জন ঘোষালের বড়ভাই রতন কুমার ঘোষালকে বললেন, মনোরঞ্জন ঘোষাল যেন এমবিএ ছেড়ে কমার্সের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। সএভাবেই তিনি হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে ক্লাস করতে শুরু করেন। এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবনে পাঠানোর জন্য বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শফিউল্লাহকে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়। তিনি সম্মতি জ্ঞাপন করেন।কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, একবছর পার হয়ে গেলেও তিনি সেই বিভাগীয় মাইগ্রেশনের কাগজপত্র প্রশাসনিক ভবনে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। যার ফলশ্রুতিতে মনোরঞ্জন ঘোষালের শিক্ষা জীবন একবছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে বছরে তিনি পরীক্ষা দিতে পারেননি। এর ফলে তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে শিক্ষা সমাপ্তের কথা থাকলেও, তিনি ১৯৭০ থেকে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ যে তিনি ১৯৬৫ সালে রেডিও পাকিস্তান ও পাকিস্তান টেলিভিশনে নজরুল সংগীত এবং আধুনিক গানের শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি পাকিস্তান টেলিভিশনে লাইভ প্রোগ্রাম করেন। বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক এবং সুরকার সবদার আলীর পরিচালনায় একটি লোকসংগীত পরিবেশন করেন। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, এ অনুষ্ঠানটি কেউ দেখতে পারেননি। ঐদিন ঢাকা শহরে ব্লাক আউট ছিলো। ঐদিনই পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ফলে সারা ঢাকা শরে কঠিন ব্লাক আউট পালিত হয়। এমনকি সেদিন মোমবাতি বা হারিকেন জ্বালনো নিষেধ ছিলো।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক পরিচয়ের সাথে তিনি একজন মৃত্যুঞ্জয়ী বীর। ভয়াবহতম নৃশংসতার সাগরকে পারি দিয়ে স্বাধীনতা নামক শব্দটি আজ আমাদের কিভাবে একান্তভাবে আপন হলো; এর বাস্তব জাজ্বল্যমান উদাহরণ হলো আমার ঘোষাল মেসো। পারিবারিকভাবে তিনি আমার মেঝমেসো।১৯৬৯ সালে পাকিস্তানি সামরিক সরকার আইয়ুব খানের দুঃশাসনবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের সময় যোগ দিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ শিল্পীগোষ্ঠীতে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মেসো এবং চট্টগ্রামে মীরেরসরাইয়ের জনপ্রতিনিধি সৈয়দ ফজলুল হক, ডাক্তার মোয়াজ্জেম হোসেন, এম এ জলিল, বাদশা মিয়া, পর্বত প্রমুখের সাথে রাত্রি ১১ টা অব্ধি গাছের গুড়ি, বড় বড় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিরোধ করে রায়সাহেব বাজারের পুলের মোড়ে। এই অবরোধ করে প্রায় বারোটায় ৪৫, পাটুয়াটুলি ইস্টবেঙ্গল পাবলিশার্সের দোতলার বাসায় চলে আসেন।এর পরে শুরু হয় প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ। মেসো তখন তিনতলা সাদের উপরে গিয়ে দেখেন, চারিদিকে আগুনের লেলিহান শিখা এবং কালো ধোয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে ঢাকা শহরকে ছেয়ে ফেলেছে।

১ 

কোন মন্তব্য নেই

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক মানিক চন্দ্র সরকার দাদা শুভ জন্মদিন উপলক্ষে ইন্ডিয়া থেকে শুভেচ্ছা বার্তা

2023 সালে ভারতের G20 প্রেসিডেন্সির প্রধান সমন্বয়কারী। সাবেক ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে হা...

Flashworks থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.